ছ মাস ধরে পঞ্চায়েত প্রধান বেপাত্তা , স্তব্ধ এলাকার উন্নয়ন : ক্ষোভ বাড়ছে এলাকায়

12th January 2021 10:32 pm বাঁকুড়া
ছ মাস ধরে পঞ্চায়েত প্রধান বেপাত্তা , স্তব্ধ এলাকার উন্নয়ন : ক্ষোভ বাড়ছে এলাকায়


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  প্রায় ছ'মাস পঞ্চায়েত প্রধান এলাকা ছাড়া । স্তব্ধ উন্নয়নের কাজ। সমস্যায় সাধারণ মানুষ । সুর চড়িয়েছেন বিজেপি । বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের উলিয়াড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা।

প্রসঙ্গত, উলিয়াড়া গ্রামে গত ১ আগষ্ট খুন হন স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা প্রাক্তন প্রধান বাবর আলি। ঐ খুনের ঘটনায় নাম জড়ায় প্রধান তাসমিনা খাতুনের স্বামী রহিম মণ্ডল। পরে পুলিশ রহিম মণ্ডল সহ অন্যান্য অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে।তারপর থেকেই প্রধান তাসমিনা খাতুন সপরিবারের এলাকা ছাড়া। প্রধান এলাকার বাইরে থাকায় ব্যহত হচ্ছে পঞ্চায়েতের স্বাভাবিক কাজকর্ম। মঙ্গলবার প্রধান তাসমিনা খাতুনের নেতৃত্বে দীর্ঘ ছ'মাস 'ঘরছাড়া' প্রায় দু'শো তৃণমূল কর্মী তাদের বাড়ি ফেরানোর দাবিতে বিক্ষোভ দেখান।

'ঘরছাড়া' মিলন মোল্লার দাবি, আমরা বিনা দোষে ঘরছাড়া। দলীয় গোষ্ঠীদ্বন্দে খুন হলেও ঐ ঘটনায় তারা যুক্ত নন বলে তিনি দাবি করেন।

প্রধান তাসমিনা খাতুন বলেন, আমি পঞ্চায়েত যেতে না পারায় সব কাজ ব্যহত হচ্ছে। আমাদের ঘরে ফেরানোর দাবি জানিয়ে পুলিশ -প্রশাসন সবার দ্বারস্থ হয়েছি। কোন কাজ হয়নি বলে তিনি দাবি করেন।

বিজেপি বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুজিত আগস্তি কুলিয়ারা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ঢুকতে পারছেন না সমস্যায় পড়ছেন সাধারণ মানুষ পরবর্তীতে আমরা ডেপুটেশন দেব উলিয়ারা গ্রাম পঞ্চায়েতে । তবে আজ যেমন উলিয়ারা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ঢুকতে পারছেন না তেমন একুশের নির্বাচনের পর পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূলের মুখ্যমন্ত্রী ও থাকবেন না ।

বিষ্ণুপুরের মহকুমাশাসক অনুপ কুমার দত্ত এবিষয়ে বলেন, ওনার চিঠি পেয়েছি। প্রধান পঞ্চায়েতে যেতে পারছেননা। বিষয়টি জেলা প্রশাসন ও মহকুমা পুলিশ আধিকারিককেও জানানো হয়েছে। যতো দ্রুত সম্ভব সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছে বলে মহকুমাশাসক জানান ।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।